৫ দিন ধরে নিখোঁজ নাবালকের সন্ধান পাওয়া গেল সোমবার। তাও বালির ঢিপির ভিতরে! মৃত অবস্থায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার রাজপুর গ্রামের মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দা বছর ৭-এর নাবালকের গলিত শবই উদ্ধার করল পুলিশ। গত সোমবার প্রথম শ্রেণির ছাত্রের বস্তাবন্দি গলাপচা দেহ প্রথম চোখে পড়ে এলাকাবাসীর। খবর যায় থানায়। পুলিশ নাবালকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের মা এবং ঋষি নামে প্রতিবেশি নাবালককে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের পর নাবালকের হত্যা রহস্যের কিছুটা আন্দাজ করেন তদন্তকারীরা। মৃতের মা সাগরী মণ্ডল নবম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে সম্প্রতি জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের অনুমান, বৃহস্পতিবার সম্ভবত মায়ের সঙ্গে প্রতিবেশি দাদাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে সায়ন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, লোক জানাজানির ভয়ে নাবালকের মা ও তার প্রেমিক চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়। শ্বাসরোধ করে ছেলেকে খুনের পর তার মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু সুনিশ্চিত করে অভিযুক্তরা। এরপর প্রতিবেশি শচীন্দ্র সর্দারের বাড়ির বালির স্তূপে তারা মৃতদেহ চাপা দিয়ে দেয় বলে ধারণা পুলিশের।
কারও যাতে সন্দেহ না হয় তার জন্য নাবালকের মা খেলতে গিয়ে ছেলের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার গল্প ফাঁদে পুলিশের কাছে। নাবালকের মা-বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। গত সোমবার শচীন্দ্র সর্দারের বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বার হতে দেখে স্থানীয়রা ওই বাড়িতে যান। সেখানে বালির স্তূপের মধ্যে থেকে বস্তাবন্দি সায়নের দেহ উদ্ধার হয়। রাতেই মৃতের মা ও অপর নাবালককে আটক করে পুলিশ।