জাতীয় সড়কের ধারেই ঝুপড়ি ঘর। রোজকার দিনের মত ঘরের ভিতর ঘুমিয়ে ছিল ৩ কিশোর ও ১ তরুণ। আচমকাই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। জাতীয় সড়ক ছেড়ে একটি ডাম্পার ঢুকে পড়ে তাঁদের ঘরে। ঝুপড়ির দেওয়াল ভেঙে ডাম্পারের চাকা উঠে আসে ঘুমন্ত ৪ ভাইয়ের ঘাড়ের ওপর। হুড়মুড় করে তাঁদের ওপর আছড়ে পড়ে ডাম্পার ভর্তি পাথরের টুকরো। ঘটনাস্থলেই চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। মঙ্গলবার ভোররাতে বর্ধমানের রানিগঞ্জের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পাথর বোঝাই ডাম্পারটি গত মঙ্গলবার বীরভূমের পঞ্চমি থেকে ফিরছিল। রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় পৌঁছতেই আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ডাম্পারের চালক। পিচ রাস্তা ছেড়ে জাতীয় সড়কের ধারের ঘরে ঢুকে পড়ে ডাম্পারটি। গাড়ির চাকা আর পাথরের নিচে চাপা পড়ে মারা যায় রোহিত কুমার, সুরজ কুমার, সতীশ কুমার ও শিশু কুমার৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠান হয়েছে। ঘাতক ডাম্পারটিকে আটক করেছে পুলিশ। গাড়ির খালাসিকে গ্রেফতার করা হলেও চালক পলাতক। তার খোঁজ চলছে। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ক্ষিপ্ত জনতা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।