গত বুধবার বীরভূমের কড়িধ্যা গ্রামের একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় পিন্টু অঙ্কুর নামে এক যুবকের মৃতদেহ। বছর ২৮-এর যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহে থেকে তাঁর পুরুষাঙ্গ ও বাঁ হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হয়। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ খুনের তদন্তে নেমে প্রথমে আটক করে মৃত পিন্টুর সহকর্মী সঞ্জয় মালকে। মৃতের স্ত্রীরও অভিযোগ ছিল যে সঞ্জয়ই তাঁর স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। তবে মৃতের পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়া ও নগ্ন অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার পুলিশকে কোনও শারীরিক সম্পর্কের যোগে এই খুন বলেই ভাবাচ্ছিল। ঘটনার তদন্তে এর পর ব্যবহার করা হয় স্নিফার ডগ। পুলিশ কুকুরের সাহায্য নেওয়াতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযোগ মৃত পিন্টুর সঙ্গে তার এক আত্মীয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের কথা জানতে পারে পিন্টুর এক কিশোর ভাগ্নে। ওই কিশোরের পিসতুতো দিদির সঙ্গেই পিন্টুর অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। এই সম্পর্ক ১৬ বছর বয়সী ভাগ্নে মানতে পারেনি। সে বারবার পিন্টুকে সম্পর্ক নিয়ে বাধা দিতে থাকে। কিন্তু তার মামা পিন্টু ভাগ্নের কথায় কান না দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে শুরু করে হাতাহাতিও হয়। অভিযোগ সেই থেকে ওই কিশোর মামার ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উতলা হয়ে ওঠে।
ঘটনার দিন পিন্টু মদ্যপান করে বেসামাল হয়ে থাকায় ভাগ্নের প্রতিশোধ স্পৃহা চাগাড় দেয় বলে সে পুলিশের কাছে জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। পিন্টুর ভাগ্নে ও তার অপর এক কিশোর বন্ধু এরপর পিন্টুকে একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ও পুরুষাঙ্গ ও হাতের কব্জি কেটে খুন করে বলে অভিযোগ। ভাগ্নেকে জেরা করে পুলিশ ঝোপের আড়াল থেকে পিন্টুর কাটা হাত ও খুনের জন্য ব্যবহৃত হাঁসুয়াটিও উদ্ধার করেছে। ২ কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে আদালত তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।