বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ডিউটি শুরু হয় পুলিশ আধিকারিক উত্তমকুমার দে-র। খড়গপুর টাউন থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। আর পাঁচটা দিনের মতই চলছিল থানার কাজকর্ম। আচমকাই কিছুক্ষণ পর থানার মধ্যে গুলির শব্দ। থানায় গুলি চলল কেন? পুলিশ কর্মীরাও প্রথমে বিষয়টা বুঝে উঠতে পারেননি। তারপরই তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন উত্তমবাবু থানার মধ্যেই মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছেন। একটি গুলি তাঁর বুকে ঢুকে গেছে। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হাত থেকে পড়ে যাওয়া নিজেরই সার্ভিস রিভলভার তুলতে গিয়ে কোনওভাবে ট্রিগারে হাত পড়ে গিয়েছিল। আর তখনই হয়তো দুর্ভাগ্যবশত পিস্তলের নল ছিল তাঁর বুকের দিকে তাক করা। ট্রিগারে চাপ পড়তেই গুলি বেরিয়ে ঢুকে যায় উত্তমকুমার দে-র বুকে। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর। তবে এটা প্রাথমিক অনুমান মাত্র। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঠিক কীভাবে মৃত্যু হল তাঁদের এক সহকর্মীর।