গত ১৫ দিন ধরে এক গৃহবধূর কোনও খোঁজ ছিলনা। তন্নতন্ন করে খুঁজেও তাঁর হদিশ পায়নি পুলিশ থেকে বাড়ির লোক। পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়ার বাসিন্দা সরিতা দেবী নামে ওই গৃহবধূর দেহ কোথায় তা অবশেষে তাঁর দেওরকে জেরা করে জানতে পারল পুলিশ। একটি পরিত্যক্ত খাদানের কোথায় বৌদির দেহ পাওয়া যেতে পারে তা দেখিয়ে দেয় তার দেওর। পুলিশের কাছে বৌদিকে খুনের কথাও স্বীকার করে নিয়েছে সে। সরিতা দেবী বেপাত্তা হয়ে যান গত ২৫ মে। তারপর থেকে এত খোঁজাখুঁজি চললেও মুখে কুলুপ এঁটেছিল দেওর। অবশেষে পুলিশের জেরার মুখে সেই কুলুপ খুলল।
সরিতার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক এবং তার জেরেই তাঁকে খুন করে থাকতে পারে তাঁর দেওর বলে অনুমান করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতার পিতা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ছোটু যাদব নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুরু হয় জেরা। আর পুলিশের সেই জেরার সামনেই ভেঙে পড়ে সব কথা স্বীকার করে নেয় দেওর ছোটু। পুলিশকে দেখিয়েও দেয় বৌদিকে খুনের পর কোথায় খাদানে সে দেহটি ফেলে দিয়েছে। আপাতত পুলিশ সেই দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ছোটুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বৌদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকলেও তার সঙ্গে হয়তো কিছু নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। আর তার জেরেই ছোটু খুন করে তার বৌদিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।