সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ হয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা হচ্ছে প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে। প্রবণতাটা তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই বেশি। কারণ এই প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে অনেক বেশি পরিচিত। যেমনটা হল গত রবিবার রাতে সোনারপুরের বৈদ্যপাড়ায়। বৈদ্যপাড়ার বাসিন্দা মৌসুমি মিস্ত্রি মায়ের সঙ্গে থাকত। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মৌসুমির সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রবিবার রাতে তার সঙ্গেই ফেসবুকে ভিডিও চ্যাট করছিল মৌসুমি।
পেশায় নার্স মৌসুমির মা নাইট ডিউটি সেরে সোমবার সকালে বাড়ি ফিরে মৌসুমির ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন ঘরের মধ্যে সিলিং থেকে ঝুলছে মেয়ের দেহ। সামনের টেবিলে দাঁড় করানো তার মোবাইল ফোন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মোবাইল পরীক্ষা করে ও মৌসুমির প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পর্কের জটিলতার কারণেই প্রেমিকের সঙ্গে ফেসবুকে লাইভ চ্যাট করতে করতে আত্মঘাতী হয়েছে মৌসুমি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।