সব পরিকল্পনা কী আগে থেকেই করা ছিল? হাওড়ার জগাছায় এক যুবকের মৃত্যুর তদন্তে নেমে এক তরুণী ও ৩ যুবককে গ্রেফতারের পর এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। গত ৬ জুন হাওড়ার জগাছা থানার প্রেস কোয়ার্টারের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তুষার ঘোষ নামে এক যুবকের দেহ। ময়নাতদন্তে তার পেটে মদের নমুনা পাওয়া যায়। তার আংটি, টাকা পয়সা গায়েব ছিল। মৃত যুবকের বাবা পুলিশে খুনের মামলা রুজু করেন। পুলিশ তদন্তে নামে।
তদন্তে নেমে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে ১ জন তরুণীও রয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, তুষার ঘোষের মামার বাড়ি জগাছায়। এখানে তার বন্ধুবান্ধব রয়েছে। গত ৬ জুন জগাছায় আসার পর তার ৩ বন্ধু সৌরভ মাকাল, শুভম অধিকারী ও প্রিয়ম সাউ তাকে এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবে বলে সলপে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে প্রিয়া ভট্টাচার্য নামে এক তরুণীর সঙ্গে তার আলাপও করিয়ে দেয়। সকলে মিলে একসঙ্গে মদ্যপান করে। খাওয়া দাওয়া করে। যার বিল মেটায় তুষারই। তারপর ওই তরুণী সহ অন্য ৩ বন্ধু তুষারের কাছ থেকে সব ছিনিয়ে নিয়ে তাকে প্রেস কোয়ার্টারের পুকুরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যেটুকু তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।