স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই অনুমান করছে পুলিশ। যে বিছানা থেকে মৃত মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই বিছানা ছিল লণ্ডভণ্ড। ফলে পুলিশের অনুমান স্বামীই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। মহিলা মৃত্যুর আগে ছটফট করেছিলেন। ফলে বিছানার এমন দশা। বিছানার পাশেই সিলিং থেকে ঝুলছে মৃত স্বামীর দেহ। এসব থেকেই পুলিশ মনে করছে যে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন স্বামী। বাবা-মায়ের এই অবস্থা এদিন সকালে জানতে পারে ছেলে। সে পাশের ঘরেই ঘুমচ্ছিল। এদিন সকালে বাবা-মাকে ডাকতে এসে দেখে এই অবস্থা। পুলিশের প্রশ্ন ছেলে পাশের ঘরেই ছিল। অথচ কিছু ঘুণাক্ষরেও টের পেলনা কেন? ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীতে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত ব্যক্তি বাপি চক্রবর্তীর বাজারে দেনা ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আর্থিক অনটনের কারণে ঝগড়া হত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। এই অবস্থায় দেনার দায়েই কী তবে আত্মহত্যা করলেন দম্পতি? নাকি এই রহস্যমৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে? আপাতত সেটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।