কম বয়সেই সুলতান আলির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল কোন্নগরের মেয়ে শুভলগ্না চক্রবর্তীর। সুলতানও স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের সম্পর্কের কথা সকলে জানতেনও। খবর কানে এসেছিল শুভলগ্নার মা-বাবারও। তাঁরা এই সম্পর্ক মেনে নেননি। মেয়েকে অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তখন সুলতানের প্রেমে শুভলগ্না বাবা-মাকে উপেক্ষা করেন। এমনও জানা যাচ্ছে যে ২০১৩ সালে নাকি ২ জনে বিয়েও করেন। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই শুভলগ্না ও সুলতানের সম্পর্কে চিড় ধরে। শুভলগ্নাই আর সুলতানের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি ছিলেননা। তিনি সুলতানকে ছেড়ে ফের বাবা-মায়ের কাছেই ফিরে আসেন। সেখানেই থাকছিলেন। এদিকে শুভলগ্নাকে ছাড়তে রাজি ছিল না সুলতান। সে ইতিমধ্যেই কয়েকবার শুভলগ্নার বাড়ি গিয়ে হামলা করে। তা নিয়ে থানা পুলিশও হয়ে যায়।
অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শুভলগ্নার বাড়িতে ফের হাজির হয় সুলতান। বাড়িতে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর শুভলগ্নার সঙ্গে কিছু কথা কাটাকাটির পর আচমকাই বন্দুক বার করে শুভলগ্নাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। মেয়েকে এভাবে গুলিবিদ্ধ হতে দেখে তাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন শুভলগ্নার বাবা-মা। কিন্তু সুলতানের হাত থেকে তাঁরাও রেহাই পাননি। তাঁদেরও বন্দুক দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় সে।
পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শুভলগ্নাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অভিযুক্ত সুলতান আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।