State

শীঘ্রই খুলবে আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনের জাদুঘর

নিরাপত্তা সহ অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া যাচ্ছিল না শান্তিনিকেতনের আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনের জাদুঘরটি। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভবনে একটি বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে এই ভবনে বাংলাদেশ উৎসব হবে। তার আগে জাদুঘরটির সমস্ত কাজ শেষ করে এটিকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব মুজিবর আলমামন, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের সচিব মহম্মদ সইফুল ইসলাম, জাদুঘরের সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন বাংলাদেশ ভবনের কো-অর্ডিনেটর মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রভবনের আধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের দ্বারোদঘাটন করেন। এরপর থেকে ভবনের গ্রন্থাগারটি সকলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও জাদুঘরটি খোলা হয়নি। এই জাদুঘরে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বিভিন্ন ছবি, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন নথি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের দুষ্প্রাপ্য ছবি, তথ্য প্রভৃতি। বহু দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান সামগ্রি এই জাদুঘরে থাকায় এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ত্রুটিহীন না করে এটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দিতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিনের বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচিত হয়।


সূত্রের খবর, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকারে উদ্যোগে ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এখানে ৩ দিনের একটি ‘বাংলাদেশ উৎসব’ করা হবে। এই উৎসবের আগেই আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনের জাদুঘরটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে৷ এছাড়া, এই ভবনে একটি আর্ট গ্যালারি করা হবে। যেখানে বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি প্রদর্শিত হবে৷ বৈঠক শেষে বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, গ্রন্থাগার ও দূতাবাসের সচিবরা বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের সঙ্গে জাদুঘরটি ঘুরে দেখেন। পুরো জাদুঘরে সিসিটিভি লাগানোর পাশাপাশি মূল্যবান তথ্য, নথি ও চিত্রগুলিকে সঠিকভাবে সংরক্ষিত করার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগারের ডিরেক্টর জেনারেল আশিস কুমার সরকার জানান যে তাঁরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অসমাপ্ত কাজগুলি শেষ করে জাদুঘরটি সকলের জন্য খুলে দিতে ইচ্ছুক। এই ভবনের সঙ্গে বাংলাদেশের আবেগ জড়িয়ে আছে বলেও জানান আশিসবাবু। প্রতিবেদক – অভিষেক দত্ত রায়


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button