বাগনানের একটি তালাবন্ধ বাড়ির দরজা ভেঙে এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ছাত্রীর হাত-পা বাঁধা ছিল। সবকিছু দেখে পুলিশের অনুমান এটা খুন। তবে কেন তাকে খুন করা হল? কেনই বা এভাবে তাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে যাওয়া হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে তারা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বাগনানে যে কোচিংয়ে ঈশিতা দত্ত নামে ওই বছর ১৪-র ছাত্রী পড়ত তার পাশেই ছিল একটি জেরক্সের দোকান। নোটস জেরক্স করতে সেখানে প্রায়ই যেতে হত ঈশিতাকে। সেখানেই জেরক্স দোকানের কর্মচারি এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় ঈশিতার। তা তার বন্ধুরা জানত। গত বুধবার বিকেলে কোচিং যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বার হয় ঈশিতা। কিন্তু সেখানে সে যায়নি। সন্ধের পর ঈশিতার বাবা-মা খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন ঈশিতা কোচিংয়ে নয়, জেরক্স দোকানের কর্মচারি ওই যুবকের বাড়িতে গেছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে অভিভাবকরা দেখেন বাড়িতে তালা ঝুলছে। সন্দেহ হওয়ায় তখনই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশে এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরিবার সমেত ওই যুবকের খোঁজ করছে পুলিশ।