গত বছরের প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছিল বন্যা পরিস্থিতি। নুনিয়া নদীর জল ভয়ংকর চেহারা নিয়েছিল। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। সেই চরম দুর্ভোগের দিনগুলো যাতে জীবনে ফিরে না আসে সেজন্য গত বছর বৃষ্টি কমার পর রানিগঞ্জের কিছু গ্রামের বাসিন্দা একসঙ্গে নুনিয়া নদীর ওপর একটি সেতু তৈরি করেছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের তো আর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্ঞান নেই। তাঁদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব সেভাবেই তৈরি হয়েছিল সেতু। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রবল বৃষ্টিতে নুনিয়ার জল প্রবল স্রোতে বইতে শুরুর পর গত বৃহস্পতিবার ভেসে যায় সেই ইট-পাথরের সেতু।
জলের তোড় সামলে উঠতে পারেনি সেতুর গাঁথনি। মাত্র এক বছরের মধ্যেই এত কষ্ট করে তৈরি সেতু হারানোর কষ্ট তো আছেই, সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে আতঙ্ক। ফের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আতঙ্ক। কারণ এই হাড়ভাঙা পরিশ্রমের সেতু দিয়েই এখানকার বেশ কিছু গ্রামের মানুষ আসানসোলের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেছিলেন। সেই সেতুই ভেসে গিয়ে তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফের পুরু করেছে।