বীরভূমের সিউড়ি সংশোধনাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েক জন বন্দিকে নিয়ে চালু হল মেশিনে মুড়ি ভাজার প্রকল্প। সংশোধনাগারের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত মুড়ি বীরভূম সহ অন্যান্য জেলার সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। এছাড়াও সিউড়ি সদর সংশোধনাগারের বাইরে স্টল করে সেই মুড়ি বিক্রি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, এখন এই সংশোধনাগারে মোট ৫১৫ জন বন্দি রয়েছে। তারমধ্যে ৪৭ জন মেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ১০৪ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। বন্দিদের মধ্যে ৩০ জন মহিলা। এই সমস্ত বন্দিদের সকাল-বিকেল টিফিনে চিঁড়ে, রুটি দেওয়া হত এতদিন। কিন্তু বেশিরভাগ বন্দিই সেই খাবারের বদলে মুড়ির দাবি করে আসছিল। সেই দাবি থেকে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে মুড়ি ভাজার মেশিন বসানোর প্রস্তাব পাঠায়। সেই প্রস্তাব মঞ্জুরও হয়। বসানো হয় মেশিন। গত শুক্রবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয় মেশিনে মুড়ি ভাজার।
বীরভূমের সিউড়ি সংশোধনাগার রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন সংশোধোনাগার, প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই সংশোধনাগার। যার নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৮১৪ সালে, ১৮২০ সালে তা পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়।
সংশোধনাগারের জেলার আব্দুল্লাহ কামাল জানান যে স্থানীয় খাদ্য অভ্যাসের অন্যতম খাবার হল মুড়ি। সংশোধনাগারে চিঁড়ে বা রুটি দেওয়া হলেও বেশিরভাগ বন্দি সেটা খেতে পছন্দ করে না। তারা মুড়িটাই চায়। কিন্তু দৈনিক চাহিদামত মুড়ি সংশোধনাগারের বাইরে থেকে ব্যবস্থা করা বেশ কঠিন। তাই জেল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে যে নিজেদের খাবার মুড়ি বন্দিরা এবার থেকে নিজেরাই ভাজবে। তিনি আরও জানান, সংশোধনাগারের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি মুড়ি বোলপুর ও রামপুরহাট মহকুমা সংশোধনাগারে পাঠানো হবে, অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো হবে। এছাড়া, সিউড়ি সংশোধনাগারের বাইরে একটি স্টল করে মুড়ি বিক্রি করা হবে।
(প্রতিবেদক – অভিষেক দত্ত রায়)