২০১৯-এর মার্চের মধ্যে কয়লাখনির কাজ শুরু করতে না পারলে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রককে ফিরিয়ে দিতে হবে ‘কোল ব্লক’। অথচ চলতি বছরের মাঝামাঝি এসে খনির জমি কেনার কাজের প্রাথমিক কাজটাও শুরু করতে পারল না দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
২০১৪ সালে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের লোবায় ৩৬০০ একর জমিতে খোলামুখ কয়লা খনির দায়িত্ব হাতে পায় ডিভিসি। শর্ত অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে এখান থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু না করতে পারলে ডিভিসি-র হাত থেকে খনির স্বত্ব ফিরিয়ে নেবে কেন্দ্র সরকার। কৃষকদের কাছ থেকে জমি কেনার কাজ শুরু হতেই সমস্যায় পড়েন জেলা প্রশাসনের ভূমি আধিকারিকরা। জমির মালিকানা নির্দিষ্ট করার জন্য তাঁরা বারবার লোবার জমিতে গেলেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে জমিতে আসেননি জমির মালিকরা। ফলত আটকে যায় জমির মালিকানা চিহ্নিতকরণের প্রাথমিক কাজ। ডিভিসি-র এক আধিকারিকের কথায়, ২০১৮-র অক্টোবরের মধ্যে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্দিষ্ট না হলে পিছিয়ে যাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ। তাঁদের আশঙ্কা, এই অসহযোগিতা চলতে থাকলে আগামী মার্চে শুরু করা যাবে না কয়লা উত্তোলনের কাজ।
লোবায় জমি হস্তান্তর নিয়ে কৃষকদের সাথে সমস্যার সূত্রপাত ২০১২ সালে। অভিযোগ, সেইসময় কয়লাখনির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিভিসি-এমটা’র মাটি তোলার যন্ত্র আটকে রেখে প্রকল্পের কাজটিই বন্ধ করে দেন কৃষিজমি বাঁচাও কমিটির সদস্যরা। জটিলতা কাটিয়ে এবার ফের জমি কেনার কাজ শুরু হতেই নতুন সমস্যার মুখে ডিভিসি।