রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি পড়াশোনা করতেন। এতবড় রবীন্দ্রভবন বাড়ির মধ্যেই বা আছে কি? ভিতরে না কি পুঁথির পাহাড়। কোনওটার বয়স ৩০০ বছর তো কোনওটার ৫০০ বছর। কিন্তু পাহাড়ের নাগাল পায় না কেউ। এবার তাই সেই ভাণ্ডার মানুষের সামনে তুলে ধরার উদ্যোগ নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্র সরকারের কাছে দরবার করে আদায় হল দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন পুঁথির ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার ছাড়পত্র।
শুক্রবার ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টস (আইজিএনসিএ)-এর ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসে পরিদর্শন করে বিশ্বভারতী। আইজিএনসিএ-এর ডিরেক্টর প্রতাপানন্দ ঝা জানান তাঁরা পুঁথিগুলি পর্যালোচনার কাজ শুরু করেছেন। আনুমানিক দেড় বছর সময় লাগবে সেগুলিকে ডিজিটাল আকারে জনসমক্ষে তুলে ধরতে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে সংস্কৃতি মন্ত্রকের সাথে বৈঠক করে আবেদন জানায় এই লাইব্রেরি ও পুঁথি সংরক্ষণের জন্য। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির ২৫০-র বেশি বই এবং ৮ লক্ষের বেশি পাতার পুঁথি ডিজিটাইজড হবে।