মধ্যমগ্রামে তৃণমূল নেতা খুনের কিনারা করল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজকে হাতিয়ার করে তদন্তে নেমে সুরজিৎ পাত্র নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে তারা। পুলিশ শুক্রবার জানায়, যে কারখানার নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে ওই তৃণমূল নেতা কর্মরত ছিলেন সেখানে চলা নির্মাণকার্যের মালপত্র চুরি করতে আসে সুরজিৎ ওরফে সুরো। রাতের অন্ধকারে রড চুরি করতে কারখানায় গিয়েছিল সে। কিন্তু তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে নিযুক্ত সুধীর দাস। যখন সুরজিৎ বুঝতে পারে চুরির কথা সুধীরবাবু ঠিকাদারদের জানিয়ে দেবেন তখন তাঁকে পড়ে থাকা একটি রড দিয়ে আঘাত করে সুরজিৎ। মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এই অবস্থায় সুধীর দাসকে কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্কে ঢুকিয়ে ওপরে চাপা দিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। পরে ভোরের দিকে উদ্ধার হয় সুধীরবাবুর দেহ।
মধ্যমগ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লী এলাকার ওই কারখানা থেকে রবিবার ভোরে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত সুধীর দাসের দেহ। তাঁর আরও একটি পরিচয় তিনি ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট। এলাকায় সুনাম ছিল সুধীরবাবুর। গত শনিবার সকাল থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল। অবশেষে রবিবার ভোরে কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে। মৃতের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজকে ভরসা করে সুরজিৎ পাত্রের নাগাল পায় পুলিশ।