৩ বছরের পুরনো ধর্ষণের মামলায় বিচার পেল নাবালিকা। বীরভূমের সিউড়ি জেলা জজ কোর্ট যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল রাজনগরের বাসিন্দা ধর্ষক প্রশান্ত বাগদীকে।
অভাবের তাড়নায় প্রতিবেশির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত মেয়েটি। সেই সুযোগে প্রতিবেশির ছেলে প্রশান্ত ধর্ষণ করে তাকে। প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত নাবালিকার মুখ বন্ধ রাখে প্রশান্ত। কিছুদিন পর নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। মেয়েটির পরিবার প্রশান্তর বিরুদ্ধে রাজনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশান্তকে গ্রেফতার করে। বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। ইতিমধ্যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় নাবালিকাকে হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তার সন্তান প্রসবও হয়।
আইনি জটিলতায় মামলা দীর্ঘতর হতে থাকলে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক শিশুটির ডিএনএ টেস্ট করে পিতৃত্ব প্রমাণের আর্জি জানান। সরকারি আইনজীবীর কথায়, ডিএনএ টেস্টের পরই প্রমাণ হয়ে যায় প্রশান্তর দোষ। শেষ পর্যন্ত গত শুক্রবার সিউড়ি জেলা জজ কোর্টের মুখ্য বিচারক পার্থসারথি সেন প্রশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শনিবার তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। সেইসঙ্গে নাবালিকার ভরণপোষণের জন্য ৩ লক্ষ টাকা এবং রাজ্য সরকারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।