নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস থেকে একই নৌকায় চূর্ণী নদী পার হওয়ার জন্য উঠেছিলেন বৃদ্ধ তেঁতুল ঘোষ এবং বাইশ বছরের যুবক সুব্রত দাস। নৌকা মাঝনদীতে পৌঁছতেই আচমকা নৌকা থেকে ঝাঁপ দেন তেঁতুলবাবু। চোখের সামনে একজন বৃদ্ধকে জলে ডুবে মারা যেতে দেখতে পারেননি সুব্রত দাস। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে সুব্রত নিজে তলিয়ে গেলেন নদীতে। ডুবুরি নামিয়ে তাঁর খোঁজ চলছে।
শিবনিবাস থেকে চূর্ণী নদী পারাপার করার বাঁশের সেতুটি বেশ কিছুদিন আগে জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। তাই নৌকাতেই পারাপার চলে। তেঁতুলবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাঁকে বাঁচাতে জলে নেমে প্রায় অনেক দূর এসেও গিয়েছিলেন সুব্রত। শেষে একা পারছিলেন না বলে পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেদের সাহায্য চান। তাঁরা এসে বৃদ্ধকে পাড়ে তোলেন। কিন্তু যুবকের দিকে কারও আর নজর পড়েনি। রাত পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।