State

অন্ধবিশ্বাস, বাড়ছে সাপে কেটে মৃত্যুর সংখ্যা

ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বাজারেও মন্দা নেই ওঝা আর তান্ত্রিকদের বাজারে। বরঞ্চ সাপের বাড়বাড়ন্তের সাথে সাথে এদেরও রমরমা কারবার। এদের কবলে পড়ে বাড়ছে সাপের বিষে মৃত্যুর সংখ্যা।

সর্প বিশারদদের মতে, ওঝাদেরই কারসাজিতে গ্রামবাংলায় তাদের স্কোর যেখানে ৯০, হাসপাতালগুলো সেখানে শূন্য। কথাটা অদ্ভুত লাগলেও এটা সত্যি। দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ সাপে কাটার ঘটনায় আক্রমণকারী সাপ নির্বিষ হয়। সেক্ষেত্রে ওঝাদের কাজ সহজ। জঙ্গলের লতাপাতা দিয়ে তারা রোগীকে সরিয়ে তুলতে পারে। গোল বাধে বিষধর সাপের ক্ষেত্রে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সাপ যে পরিমাণ বিষ ঢালে তাতে মানুষের মৃত্যু হয় না। শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন হতে পারে। সময় মতো ওষুধ পড়লে তারও সম্ভাবনা থাকে না।


তবে ওঝারা যখন বুঝতে পারে বিষের মাত্রা খুব বেশি তখনই তারা রোগীর আত্মীয়দের ভয় দেখায় বিষ মাথায় উঠে গেছে বা নিয়তি টেনেছে, এসব কথা বলে। তাতে ভয় পেয়ে রোগীর পরিবার ছোটে হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে এত দেরি হয়ে যায় যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী বাঁচেন না। হাসপাতালের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা রোগীর পরিবারের।

বনদফতর, সর্প বিশারদ সবার তরফেই স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাই বারবার প্রচার চালানো হচ্ছে যে সাপে কামড়ালে যেন যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হয়।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button