শ্রাবণের একরাতের বৃষ্টিতে যে এত মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে তা ভাবতে পারেননি বাঁকুড়া-বীরভূমের সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসন। রাতারাতি ডুবে গিয়েছে বাঁকুড়ার ব্লকের পর ব্লক ধানজমি, বাড়িঘর। বাঁকুড়া ও বীরভূমের উত্তর পূর্ব দিকে ঝাড়খণ্ড থেকে বয়ে আসা নদীগুলি ক্রমশ ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে।
গন্ধেশ্বরী ও শালি নদীর জলে হাবুডুবু অবস্থা বাঁকুড়ার। গন্ধেশ্বরী ভাসিয়ে দিয়েছে বাঁকুড়া সদর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। লোকালয়ে জল ঢুকে ভেঙে গিয়েছে বেশ কিছু বাড়িও। শালি নদীর জলে ভাসছে বড়জোড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ও মেজিয়ার বেশ কিছু অংশ। বড়জোড়ায় ডুবে গিয়েছে বেলিয়াতোড় এলাকার জুজুঘাটি, রাইদিহি, সীতারামপুর গ্রাম সহ আরও অনেক গ্রাম। নিরিশায় শালি নদীর ওপর গাংদুয়া জলাধারে জল বিপদসীমার ওপর উঠে যাওয়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে ১২টি গেটের মধ্যে ৬টি গেট। ফলে নিরিশা সহ আশেপাশের গ্রামগুলি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা। মেজিয়াতে ইতিমধ্যেই কুশতোর অঞ্চল জলের তলায় চলে গেছে।
বীরভূমে জলমগ্ন মুরারই ব্লকের রাজগ্রামের বেশ কিছু এলাকা। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা বাঁশলই নদীর জলে ডুবে গেছে রাজগ্রাম যাওয়ার রাস্তা। জলের তলায় করমজি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল। এদিন রোগীরা চিকিৎসার জন্য এসে ফিরে যেতে বাধ্য হন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে।