প্রতিদিনই সকালবেলা বাঁকুড়ায় শালি নদীর ধারের জমিতে গরু ছাগল নিয়ে বড়জোড়া সোনামুখীর মানুষজন চড়াতে যান। সোমবারও সেরকমই গিয়েছিলেন। শালি নদীর জল বেড়েছে জানা সত্ত্বেও তাঁদের যেতে হয়েছিল। কারণ রুটিরুজির টান। কিন্তু সেই যাওয়ার যে এমন পরিণতি হবে তা কে জানত।
এদিন সকালে গাংদুয়া বাঁধের ৬টি গেট খুলে দেওয়া হলে ভয়াবহ চেহারা নেয় শালি। তারই হড়কা বানে কিছুক্ষণের মধ্যেই বড়জোড়ার বৃন্দাবনপুরের হুচুক ডাঙ্গা হয়ে যায় আলাদা একটা দ্বীপ। আটকে পড়েন বড়জোড়া থেকে আসা ১৪ জন ও সোনামুখীর ১১ জন মানুষ। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাঁদের প্রায় ৩০০ গরু ছাগল।
নৌকা ছাড়া ফেরার উপায় নেই। কিন্তু রোজকার জীবিকার ভরসা পশুগুলিকে ছেড়ে তাঁরা ফিরবেন কি করে? সমস্যা সমাধানে শেষ পর্যন্ত আসরে নামে প্রশাসন। বড়জোড়ার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কালিদাস মুখার্জী খাবার আর ত্রিপল পৌঁছে দেন দ্বীপান্তরে আটকে পড়া মানুষগুলোকে। আপাতত জল না কমলে পশুগুলিকে নিয়ে তাঁদের আর ঘরে ফেরা হবে না।