দেশ জুড়ে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাকে কিছুটা সাড়া পড়ল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। মোটর ভেহিকলস অ্যামেন্ডমেন্ট বিলের প্রতিবাদেই এই ধর্মঘটের ডাক। ধর্মঘটের ডাক দেয় অল ইন্ডিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স অর্গানাইজেশন ও সিটু। ২০১৭ সালে লোকসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর এখন রাজ্যসভায় পাস হওয়ার অপেক্ষায়। তার আগেই এই ধর্মঘট। ধর্মঘটীদের দাবি, এতে বেসরকারি পরিবহণ কর্মীদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
এদিন কলকাতায় দিনভর বাস চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি। কোনও ধর্মঘট যে রয়েছে তা বোঝাই যায়নি। কিন্তু রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় এর প্রভাব পড়েছে। কোথাও বেশি, কোথাও কম। হাওড়াতেই এদিন সকাল থেকে বাস ছিল অপ্রতুল। ফলে অফিসযাত্রী সহ নানা কাজে বার হওয়া মানুষজন বিপাকে পড়েন। কিছু বাস এলেও তাতে ওঠার মত পরিস্থিতি ছিলনা। ২ বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমেও এই ধর্মঘটের প্রভাব চোখে পড়েছে। অনেক রুটেই বেসরকারি বাস চলাচল করেনি। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে এদিনের ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। পরিবহণ ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে মালদহ, উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশে।
অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও এই পরিবহণ ধর্মঘটের প্রভাব তেমন পড়েনি। দু-চার জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছু যানবাহন চলাচল করেনি। তবে সার্বিকভাবে সেই অর্থে ধর্মঘটের কোনও প্রভাব দেশের কোথাও দেখতে পাওয়া যায়নি।