জল বাড়লে ঘরে ফেরা। জল নামলে সব ঠিকঠাক। তাই ৪ মাস প্রায় ‘গ্রামবন্দি’ ওলা গ্রামের ৭০টি পরিবার। সামান্য ঘরের নুন তেলটাও আনা দুষ্কর বর্ষায়। আর মুমূর্ষু রোগীকেও ভাগ্যের হাতে ছেড়ে রাখা ছাড়া উপায় নেই। দ্বারকা নদীর বাঁকে বীরভূমের ওলা গ্রামে এটাই জীবন।
সাঁইথিয়ার বাজিতপুর পঞ্চায়েতের ওলা গ্রামের পূর্ব আর দক্ষিণ দিক দিয়ে দ্বারকা নদী। পশ্চিমেও খানিকটা এই নদীর বিস্তার। স্কুল বলতে বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়। মুদিখানাও সবচেয়ে কাছে সেই বাজিতপুরে। সারাবছরই সব কাজে গ্রামবাসীরা নদী পার হয়ে যাতায়াত করেন। বর্ষার প্রায় ৪ মাস তাই এখানে জীবন দুর্বিষহ।
গ্রামবাসীদের কথায়, এই সময়টায় নদীর ধারে চাষের কাজ করা মানুষজন নজর রাখেন নদীর দিকে। জল বাড়তে দেখলে ওপারে থাকা লোকদের খবর দেওয়া হয় বাড়ি ফেরার জন্য। অনেক সময় স্কুল পড়ুয়ারা বাড়িও ফিরতে পারে না। রাত কাটাতে হয় স্কুলের ছাত্রাবাসে।
জেলা প্রশাসনকে প্রায় ২ বছর আগে সমস্যার কথা জানানো হলেও পাওয়া যায়নি সেতু তৈরির টাকা। স্মার্টফোন হাতে তাই কড়াইতে ভেসে গ্রামবাসীদের যোগাযোগ রাখতে হয় বাইরের দুনিয়ার সাথে।