গুগল ম্যাপে নামটা নিমড়া। তবে ২০১৪ সাল থেকে প্রচার পেয়ে গিয়েছে ডাকনামটাই, নিমড়ে। ২০১৪-তে খাগড়াগড় কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আমজাদ আলি ওরফে কাজল আর গত মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিনের বাড়ি বীরভূমের ওই নিমড়েতেই। আর এখন এনআইএ-র শ্যেনদৃষ্টি ওই নিমড়েতেই।
সূত্রের খবর, খাগড়াগড় কাণ্ডের তদন্তে নেমে এনআইএ-র হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে নিমড়েই হল ঘটনার আঁতুড় ঘর। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে জেএমবি-র ২ নেতা এসে এখানেই প্রশিক্ষণ দেয় জিহাদি হওয়ার। গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, কমপক্ষে ১০ জন সেই সময় যোগ দেয় জিহাদি হওয়ার জন্য। সংখ্যাটা তার থেকে বেশিও হতে পারে। আবার এমন কেউ থাকতে পারে যারা প্রকাশ্যে দলে যোগ না দিলেও সাহায্য করে পরোক্ষ ভাবে।
এখন সেই জিহাদিদের খোঁজেই তৎপর এনআইএ। বীরভূম জেলা পুলিশকেও তদন্তের বিষয়ে জোর তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। নিমড়ে চিহ্নিত হয়েছে ‘স্পেশাল কনসেন্ট্রেশন জোন’ হিসাবে। জেলা পুলিশ শুরু করেছে দাগি মুখগুলোকে চিহ্নিত করার কাজ।