শ্রমিক কৃষকদের ন্যায্য অধিকার, ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে বামেদের রাজ্য জুড়ে আইন অমান্য ও জেল ভরো কর্মসূচি পালিত হল। এই আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের তৈরি গার্ড রেল ভেঙে বাম কর্মী সমর্থকরা জোর করে এগোনোর চেষ্টা করলে অনেক জায়গায় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। যা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করে রায়গঞ্জ, মালদহ, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রবল আকার ধারণ করে। অনেক জায়গায় র্যাফ দিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বিভিন্ন জেলায় ব্যারিকেড ভেঙেও ফেলেন বাম কর্মী সমর্থকেরা। বহু বাম কর্মী সমর্থক এদিন গ্রেফতার হন।
কলকাতায় সিপিএম নেতা অনাদি সাহুর নেতৃত্বে একটি মিছিল পৌনে ৩টে নাগাদ কলকাতা পুরসভার সামনে থেকে শুরু করে এগিয়ে যায় রানি রাসমণি রোডের দিকে। সেখানে পৌঁছতে বিকেল ৩টে বাজে। রানি রাসমণি রোডে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। মোতায়েন ছিলেন প্রচুর পুলিশ কর্মী। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। সেখানে পৌঁছে ব্যারিকেড ভাঙার আপ্রাণ চেষ্টা চালান আন্দোলনকারীরা। ব্যারিকেড ধরে নাড়তে থাকেন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের ফিরে যেতে অনুরোধ করতে থাকে। এরমধ্যেই কয়েকজন ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ বেশ কিছু বাম কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করে। এদিন কলকাতায় হওয়া বামেদের এই আইন অমান্য কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্যান্য নেতারা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা থামে। রাস্তায় বসে অবস্থান শুরু করেন বাম কর্মীরা। দাবি জানান, এখান থেকেই গ্রেফতার হওয়া সকলকে ছেড়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে গ্রেফতার সকলকে জামিনে ওখান থেকেই মুক্তি দেওয়া হয়। বিকেলের পর অবস্থা স্বাভাবিক হয়।