তিনি বেঁচে থাকতে প্রতিষ্ঠার পর একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি দরজা। কিন্তু তাঁর প্রয়াণের ২ দিনের মধ্যেই আপাতত বন্ধ হয়ে গেল জ্যোতি বসু সেবা কেন্দ্র। নিজের বাবা ও মায়ের নামে তৈরি ট্রাস্ট থেকে যার খরচ বহন করতেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিমাসে শান্তিনিকেতন থেকে সুকল মার্ডি কলকাতায় গিয়ে নিয়ে আসতেন চেক। কিন্তু এরপর থেকে পরিচালন ব্যয় বহনের খরচ কে দেবেন সে প্রশ্নকে সামনে রেখেই গত মঙ্গলবার থেকে আপাতত বন্ধ এই দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র।
২০১০ সালের ২ অক্টোবর শান্তিনিকেতনের পিয়ারসন পল্লিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত দাতব্য চিকিৎসালয়টির উদ্বোধন করেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য ছিল শান্তিনিকেতনের মধ্যে থাকা ৪টি আদিবাসী গ্রামের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা। যার ব্যয়ভার সোমনাথবাবু নিজেই গ্রহণ করেন। পরিষেবা দিতে প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মীদেরও নিয়োগ করেছিলেন তিনি। ডাক্তার দেখানো থেকে পরীক্ষানিরীক্ষা করা, পরিষেবার পুরোটাই ছিল বিনামূল্যে।
নিয়মিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের খোঁজখবর নিতেন সোমনাথবাবু। প্রতিষ্ঠান চালাতে মাসিক খরচ প্রায় লাখ খানেক টাকা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির স্থানীয় পরিচালকরা জানিয়েছেন যে সোমনাথবাবুর পরিবারের সাথে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা না হওয়া অবধি বন্ধ থাকবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দরজা। এতদিন বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে আসা গরীব আদিবাসী মানুষগুলোর কপালে যা চিন্তার গভীর ভাঁজ ফেলেছে।