গত শুক্রবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। খোঁজ মিলল শনিবার ভোরে। কিন্তু যে অবস্থায় তার খোঁজ মিলল তাতে একইসঙ্গে হতবাক এবং ক্রুদ্ধ উত্তর দিনাজপুরের রায়পাড়ার বাসিন্দারা। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র দেবু নামে ওই বালককে উলঙ্গ অবস্থায় গাছে হেলান দিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন এক মহিলা। এদিন ভোরে তাঁরই প্রথম চোখে পড়ে। দেখা যায় দেবুর গলায় ফাঁস দেওয়া রয়েছে। ওড়নার ফাঁস। আশপাশে পড়ে সবুজ চুড়ির টুকরো। দশ টাকার নোট। আধ খাওয়া আপেল। গাছে হেলান দিয়ে নিথর দেহটা পড়েছিল। সেই দৃশ্য স্থানীয় মানুষের ক্রোধ আরও বাড়িয়ে দেয়। একটা ছোট ছেলেকে এমন নৃশংসভাবে কে বা কারা হত্যা করল তা জানতে চান তাঁরা। চান অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরেনি দেবু। বাবা কর্মসূত্রে বাইরে। দেবুকে নিয়ে থাকেন মা। সেই ছেলে না ফেরায় মা খোঁজ শুরু করেন। পড়শিরা মনে করেছিলেন মনসা পুজো ছিল। কোথাও সেই পুজো দেখতে দেবু আটকে গিয়ে থাকতে পারে। সেটাই তার মাকে বুঝিয়ে বলেন তাঁরা। কিন্তু পড়শিরাও এমন ভয়ংকর কিছু হতে পারে বোধহয় আশা করেননি। এদিনের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেন একটি বালককে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হল তা বুঝে উঠতে পারছে না তারা। তবে কী সে এমন কিছু দেখে ফেলেছিল যা জানাজানি হলে সমস্যা ছিল? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে।