বাড়িতে অসুস্থ বাবা। তাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করেই আর অপেক্ষা করেননি দিলওয়ার। যোগ দিয়েছিলেন নির্মাণ শ্রমিকের কাজে। কিন্তু বেশিদিন আর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হল না নদিয়ার নাকাশিপাড়ার চৌমুহা গ্রামের বাসিন্দা দিলওয়ার মল্লিকের। কেরালার বিধ্বংসী বন্যা কেড়ে নিল ১৮ বছরের যুবকের প্রাণ।
গত এপ্রিল মাসে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কেরালা যান দিলওয়ার। বন্যার খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্বিগ্ন ছিল নদিয়ায় তাঁর পরিবার। গত বুধবার বাড়িতে ফোন করেছিলেন দিলওয়ার। জানিয়েছিলেন চারিদিক জলে ডুবে যাওয়ার চিত্রের কথা। বলেছিলেন খুব বন্যা সেখানে। তারপর ২ দিন আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সাথে।
শনিবার তাঁর কাজের সঙ্গীরা ফোনে জানান দিলওয়ারের মৃত্যু সংবাদ। তাঁদের দাবি, ঠিকাদারের চাপেই শনিবার কাজে বেরতে বাধ্য হন দিলওয়ার। তখনই হড়কা বানে ভেসে যান তিনি। আর সেই খবর আসার পরই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে চৌমুহায় দিলওয়ারের দরিদ্র পরিবারে।