কেউ খোঁজ পেয়েছেন, কেউ বা পাননি। বেশিরভাগ পরিবারেরই মূল উপার্জনকারী আটকে পড়েছেন কেরালার বন্যায়। কারও পরিবারের একাধিক সদস্য। যতদিন না তাঁরা ঘরে ফিরছেন, চোখের জল যেন শুকচ্ছে না বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়ার পরিবারগুলোর মানুষদের।
বীরভূমের বোলপুরের কাছে কাখুটিয়া গ্রামের প্রায় ১০ জন কেরালায় গিয়েছিলেন রাজমিস্ত্রির কাজ করতে। হরিচাঁদ দাস, শুশুল বিশ্বাস, সমর বারুইরা কেরালায় বন্যা হওয়ার খবর দিয়েছিলেন পরিবারকে। জানিয়েছিলেন তাঁরা উঁচু বাড়ির ছাদে উঠে নিরাপদে আছেন। কিন্তু কাখুটিয়ায় থাকা পরিজনরা যখন খোঁজ নিতে চাইছেন ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না কেরালায় থাকা মানুষগুলোকে।
বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের চাঁদাই গ্রামের দাউদ শেখের পরিবার আবার সেই নিশ্চয়তাও পাননি। ৩ দিন আগে শেষবার ফোন করেছিলেন দাউদ। জানিয়েছিলেন জল নেই, খাবার নেই। কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যায়। আর যোগাযোগ করা যায়নি। কথাগুলো মনে পড়তেই চোখ ছলছল করে উঠছে স্ত্রী অপসুরা বেগমের।
নদিয়ার আফ্রিজা বিবি কাকে নিয়ে ভাববেন সেটাই ভাবার। নিজের স্বামী হায়াত মণ্ডল যেমন আটকে পড়েছেন তেমনই আটকে রয়েছে তাঁর ভাই তামজীদ শেখ। আবার জামাই ঝন্টু শেখও কেরালার বন্যায় আটকে। তাঁরা সবাই খবর দিয়েছিলেন রিলিফ ক্যাম্পে রয়েছেন বলে। কিন্তু সবার সাথেই শেষ ৪ দিন আর যোগাযোগ করা যায়নি। এদিকে শেষবার তাঁরা জানিয়েছিলেন ক্যাম্পে আলো নেই, মশার উপদ্রব। ঝন্টু শেখ জ্বরের কবলে। তারপর? একবার তাঁদের খবর পেতে ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষায় আফ্রিজা।