এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ধর্ষণের দায়ে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি হল বাঁকুড়ার এক প্রৌঢ়ের। ওই মহিলার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষকের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই শাস্তি দিলেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক পার্থপ্রতিম দাস।
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘটির বড়ালির বাসিন্দা অজিত হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গ্রামের এক বন্ধুর মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে ধর্ষণ করে সে। এই ঘটনা জানাজানি হতে ওই মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় সে। এই সুযোগে আরও বেশ কয়েকবার ঘটায় জঘন্য অপরাধ। কিছুদিন পর ওই মহিলা সন্তানসম্ভবা হলে তখন অজিত বিয়েতে বেঁকে বসে।
এই অবস্থায় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মহিলার পরিবার। মামলা চলাকালীন মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হোমে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। অবশেষে সেই সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় অজিতের অপরাধ।