সচরাচর এরা মাঠেই থাকে। মানুষের সঙ্গ এদের না পসন্দ। কিন্তু বর্ষাই বাধাল বিপত্তি। ফলে ভিজে জমি ছেড়ে এখন মানুষের ঘরের শুকনো জায়গায় ঠাঁই চাইছে স্পেকটাকল্ড কোবরা বা খরিশ। ছবিটা নদিয়া বা বীরভূম ২ জায়গাতেই সমান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদিয়ার করিমপুরের মহামায়াপল্লিতে তপন চৌধুরীর বাড়িতে একটি খরিশ সাপ থাকার খবর পান করিমপুর নেচার কেয়ার সোসাইটির সদস্যরা। লোকালয়ে এধরণের সাপ অমিল হলেও বাস্তবতা অন্য। রাতেই উদ্ধার হয় প্রায় ৪ ফুট লম্বা সাপটি। পরে সেটিকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়।
অন্যদিকে বুধবার সকালে বীরভূমের ছোড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় আরও একটি স্পেকটাকল্ড কোবরা। এদিন বীরভূম বন দফতরের ছোড়া বিট অফিসের কর্মীদের থাকার জায়গার মুরগির ঘরে ঢুকে পড়ে সাপটি। খাবারের সন্ধানেই সাপটি সেখানে ঢুকেছিল বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। বীরভূমের সর্প বিশারদ দীনবন্ধু বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন।
পরে জানা যায় সাপটি প্রায় ৫ ফুট লম্বা ছিল। মুরগির ঘর থেকে সেটি দুটি ডিমও খেয়ে ফেলে। তারপর সাপটিকে জঙ্গলে উপযুক্ত জায়গা দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সময় সাপটি বারবার আক্রমণ করার চেষ্টা করে। পরে খেয়ে ফেলা ডিম ২টি উগরেও দেয়।