পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গত ২ দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা, হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বোর্ড কে গড়বে? কে প্রধান হবেন? কোথায় কারা জোট বাঁধছে? এসব নানা বিষয়কে সামনে রেখে সংঘর্ষ, বোমাবাজি, এমনকি গুলি চলার অভিযোগও সামনে আসছে। সোমবারও তার অন্যথা হল না।
সোমবার সকাল থেকেই পুরুলিয়া থেকে উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে মালদহ। একের পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এদিন সকালে মালদহের মানিকচকের হুকুমতপুর গ্রামে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে ১ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় এক সাধারণ মানুষেরও। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। যারমধ্যে ১ শিশুও রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে।
বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ও জয়পুর। রঘুনাথপুর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় এদিন তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। মুড়িমুড়কির মত বোমা পড়ে। এলাকা ছিল কার্যত শুনশান। দোকানপাট খোলেনি। কেউ বাড়ি থেকে বার হতেই সাহস পাননি। দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমাবাজি, সংঘর্ষের খবর মেলে। অন্যদিকে পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকেও এদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এখানে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। বিজেপির দাবি পুলিশের গুলিতেই ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। পুলিশ এসে গোটা এলাকায় টহলদারি শুরু করলে কিছুটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে পুরুলিয়ার সাতুরি থানার এক এএসআই এদিন সংঘর্ষ থামাতে গেলে তাঁর মাথায় ব্যাপক আঘাত লাগে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার চোপড়াতেও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখানে কংগ্রেস কর্মীদের তাড়া করে পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ তাদের কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গাতেও। বাদ যায়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনাও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে এদিন বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়।