ফাতনার দিকে তাকিয়ে বসে থাকা এখনও এখানে ‘প্যাশন’। স্মার্টফোন ইন্টারনেটের যুগেও কৃষ্ণনগরের মানুষ মাছ ধরাটাকে অবহেলা তো দূরের কথা, রীতিমত ‘সিরিয়াস’ হবি হিসাবেই দেখেন। কিন্তু এবার বাধা পড়ল ১৫০ বছরের সেই প্রাচীন শখে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল লালদিঘিতে মাছ ধরা।
নদিয়ার কৃষ্ণনগর শহরের জলকলের কাছে লালদীঘি। প্রায় ১২ বিঘা এলাকা জুড়ে বিশাল এই জলাশয়। এখানে মাছের আয়তনও মানানসই রকম বড়। সিলভার কার্প, ক্যাকটাস, আমেরিকান রুইয়ের মত হরেকরকম প্রায় ৪০ কুইন্টাল মাছ এখানে আছে। কৃষ্ণনগর পুরসভা এই দীঘির রক্ষণাবেক্ষণ করে। কারণ এখানেই প্রতি বছর ১৫০ জনকে ছিপ দিয়ে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়। এই ঐতিহ্য আজও অমলিন।
প্রতি বছর ১৫ অগাস্ট থেকে ৩ মাস এখানে মাছ ধরা হয়। প্রতি বছর ১৫০ জনকে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়। শনি ও রবিবার ছিপ নিয়ে হাজির হন মাছের শখের শিকারিরা। কিন্তু সম্প্রতি দীঘির প্রায় ৭ কুইন্টাল মাছ এক রাতে হঠাৎ মরে যায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কৃষ্ণনগরে। মাছ মারা যাওয়ার কোন কারণ আবিষ্কার করতে না পারায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল মাছ ধরা।