জীবনের মূল্য এখানে এতটাই কম যে একই সিরিঞ্জ ২ জন মানুষের শরীরে ফুটিয়েও শাস্তি হয় না স্বাস্থ্যকর্মীর। ঘটনায় বোলপুরের মতো আন্তর্জাতিক শহরের বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত মঙ্গলবার বিকালে বোলপুরের সিয়ানে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে আসেন বর্ধমানের ভেদিয়ার বাসিন্দা কণিকা দে। তক্ষুনি তাঁর অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তার। সেই মতো তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর আগে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সেই সময় তাঁর পরিবারের আত্মীয়রা সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, যে সিরিঞ্জ দিয়ে আগের রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় সেটাই নিডল বদল না করে কণিকাদেবীর ইঞ্জেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। তাঁরা তক্ষুনি ঘটনার প্রতিবাদ শুরু করেন।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। তবে সেই রাতেও ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি তারা। রোগীর পরিবার বোলপুর মহকুমা স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছেও লিখিত অভিযোগ জানায়। তারপরেও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা।