রাস্তার ধারে একটা বস্তা দেখে সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয়দের। রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকা বস্তার গায়ে রক্ত দেখে তাঁদের সন্দেহ আরও বাড়ে। হাওড়ার ডোমজুড়ের কাছে মাকড়দহের একটি রাস্তার ধারে গত বুধবার ওই রক্তমাখা বস্তা যখন স্থানীয়দের নজর কাড়ে তখন বিকেল ৩টে সাড়ে ৩টে হবে। খবর যায় পুলিশে। ডোমজুড় থানার পুলিশ এসে বস্তা খুলে দেখে বস্তার মধ্যে রয়েছে এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ। কেবল ধড় রয়েছে। কেটে নেওয়া হয়েছে হাত-পাও। এমনকি পিঠেও কাটা দাগ পায় তারা। পরে পুলিশ জানতে পারে পিঠে একটি জড়ুলের দাগ ছিল। সেটিও কেটে নিয়েছে আততায়ী।
জানা গেছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সলপ শাখায় রিকভারি বিভাগে কর্মরত পার্থ চক্রবর্তী নামে এক যুবককে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ব্যাঙ্কের তরফে বুধবারই পুলিশে জানানো হয়েছিল। ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ওই যুবকের বুধবার ৫টি জায়গা থেকে ঋণের টাকা সংগ্রহের কথা ছিল। প্রথম ৪টি জায়গায় গেলেও ৫ নম্বর স্থানে তিনি যাননি। এরপর ওই দেহ পার্থ চক্রবর্তীরই কিনা তা জানার চেষ্টা শুরু হয়। পার্থবাবুর পরিবারের তরফে দেহ শনাক্ত করা হয়। নদিয়ার বাসিন্দা পার্থ চক্রবর্তী কর্মসূত্রে সলপে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ কিছুটা ধন্ধে। কারণ বছর ২৫-এর যুবক পার্থ চক্রবর্তী ৪ জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। ফলে যখন ঘটনা ঘটে তখন তাঁর কাছে লক্ষাধিক টাকা ছিল। ফলে টাকার লোভে কেউ তাঁকে খুন করে থাকতে পারে। কিন্তু তাই যদি হবে তবে কেন তাঁকে এমন ভয়ংকরভাবে খুন করা হল তা বুঝে উঠতে পারছেন না তদন্তকারীরা। এদিকে পার্থবাবুর পিঠের জড়ুল পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তবে কী চেনা কেউ তাঁকে এভাবে খুন করল? এটা কী তবে পুরনো কোনও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ? নাহলে এমন বীভৎসভাবে খুন কেন? নানা প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।