পারদর্শীরা বলেন, ক্যারাটে বা কুংফু আত্মরক্ষার কাজেই লাগানো উচিত। সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করল বীরভূমের এক ছাত্রী। আর তাতেই কাত হয়ে চম্পট দিল ইভটিজার। গল্পটা শুনলে হয়তো সব মেয়ের বাবা-মাই চাইবেন মেয়েকে ক্যারাটে শেখাতে।
শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ার একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্যক্ত করছিল বাইক চড়ে আসা বহিরাগত এক যুবক। বেগতিক দেখে সে সাহায্য চায় তারই ক্লাসের এক ক্যারাটে জানা বান্ধবীর। সাহায্য করতে রাজিও হয় ওই বান্ধবী। ৪ কিলোমিটার দূরে পড়তে যাওয়ার পথে বন্ধুকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল সেই বান্ধবী। ‘টার্গেট’ মেয়েটির সাথে অন্য মেয়েকে দেখে কিছুদিন আসা বন্ধ করে ইভটিজার ছেলেটি।
গত বুধবার সকালে ২ বন্ধু পড়তে যাওয়ার পথে ফের হাজির মূর্তিমান। তখনও কিছু বলেনি বোলপুরের ক্যারাটে কিড। এরপর ছেলেটি বাইক নিয়ে এসে তার হাত ধরে টানলে সে সাইকেল থেকে চকিতে নেমে ২টি পাঞ্চ কষায় ছেলেটির পেটে। ছেলেটি বাইক থেকে পড়ে গেলে পা দিয়ে এক কিক। কোনও মতে ছেলেটি তাকে ডানহাত দিয়ে সরিয়ে বাইক নিয়ে পালায়। আততায়ীকে ধরতে না পারার দুঃখ রয়ে গেল ক্যারাটে কিডের। পরের বার দেখা পেলে নিশ্চয়ই তাকে ধরবে বলেও জানায় সে।
ঘটনায় মেয়েটির অভিভাবকরাও যথেষ্ট গর্বিত। খুশি জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়ালও। তাঁর কথায়, এই ঘটনা জানার পর হয়ত বাবা-মায়েরা মেয়েদের অন্তত সেলফ ডিফেন্সের জন্য ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিতে উৎসাহী হবেন।