State

কয়লাখনি বাঁচাতে ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার

রাজ্যে খোলা মুখ কয়লা খনির সত্ত্ব যাতে ফিরে না যায় তার জন্য এবার প্রশাসন বাধ্য হল চাষিদের সাথে আলোচনায় বসতে। প্রথমবার বীরভূমের লোবা এলাকার চাষিদের সাথে বৈঠকে বসে কার্যত চাষিদের দাবিই মেনে নিল রাজ্য সরকার। সব ধরনের চাষিদের জমি চিহ্নিত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি পুনর্বাসন দেওয়ার সব ব্যবস্থাও শুরু করে দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে।

শুক্রবার বীরভূমের জেলা শাসকের দফতরে বৈঠকে বসেন জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। অন্যদিকে লোবার কৃষকদের পক্ষে ছিলেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে ঠিক হয় যে এলাকায় কয়লা খনির জমি ছেড়ে দেবেন চাষিরা। সেখানকার জমির মালিক, বর্গাদার, পাট্টাদার, দখলদারির সূত্রে জমির মালিক এবং যারা আগে জমি বিক্রি করে দিয়েছিলেন, কয়লাখনির জন্য তাঁরা সবাই একই হারে ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিছুদিন আগে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সমীক্ষা শুরু হলেও চাষিদের দাবি না মেটায় তাঁরা কেউ সমীক্ষায় যোগ দেননি। ফলে কাজ বেশ কিছুদিন পিছিয়ে গিয়েছে।


২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই জমিতে কয়লা তোলার কাজ না শুরু করলে কোল ব্লক ফিরিয়ে নেবে কেন্দ্র সরকার। তাই এবার আলোচনায় চাষিদের প্রতি নরম মনোভাব দেখায় প্রশাসন। এমনকি পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। সরকার চিহ্নিত জায়গায় পুনর্বাসন নিতে রাজি হন চাষিরা। জানা যায় তাঁরা কিছুদিনের মধ্যেই সেই জায়গা দেখতে যাবেন।

শিল্পের স্বার্থে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে উঠে যাওয়ার আগে ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করার জন্য চাষিদের এই যে দাবিগুলি ছিল তা প্রায় ৬ বছর ধরে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উল্টে জোর করে জমি নেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ চাষিদের। তবে এবার চাষিদের একতার কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হল সরকার।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button