কয়লা খনির কাজ শুরু করতে হবে দ্রুত। তাই এবার আক্ষরিক অর্থেই মাঠে নামলেন বীরভূমের জেলা শাসক। শান্তিপূর্ণ ভাবে জমি হস্তান্তরের লক্ষ্যে ঘুরে দেখলেন লোবা গ্রামের বসতি এলাকা। শুরু হল পুনর্বাসনের পরিকল্পনাও।
শনিবার লোবা গ্রামে গিয়ে গ্রামে কটি স্কুল আছে, মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করেন বীরভূমের জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু। তাঁর সঙ্গে যান ভূমি ও রাজস্ব অধিকর্তা পূর্ণেন্দু মাজি। পরবর্তীকালে এই গ্রামটিকে পুরোপুরিভাবে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি কি প্রয়োজন সে বিষয়ে গ্রামবাসীদের সাথে কথাবার্তা বলা হয়।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফিল্ড সার্ভে। তার পরিবর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের কাছে থাকা পুরনো নথি থেকেই তৈরি করা হবে জমির মালিকানার তালিকা। সেই তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে গ্রামে। তালিকা অনুযায়ী যাঁদের অসন্তোষ থাকবে, তাঁরা যোগাযোগ করবেন জেলা প্রশাসনের সাথে। উপযুক্ত নথি দেখাতে পারলে তাঁদের নাম তালিকায় যুক্ত করা হবে।
তালিকা যত দ্রুত তৈরি হবে তত দ্রুত ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আলোচনা শুরু করা যাবে। তবেই শুরু করা যাবে কয়লা খনিকে বাস্তব রূপ দেওয়ার কাজ। আগামী মার্চের আগে সেই কাজ শেষ করতে আপাতত তৎপর প্রশাসন।