ঘরের মেঝেতে পড়ে দাদার দগ্ধ দেহ। ঘরে চামড়া পোড়া গন্ধ। আর তার পাশে পড়ে গোঙাচ্ছেন তাঁর ২ বোন। ২ বোনেরই হাতের শিরা কাটা। তা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে মেঝে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এমন এক ভয়ংকর দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিলেন প্রতিবেশিরা। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে দগ্ধ বৃন্দাবন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ২ বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের ব্রাহ্মণ বহরা গ্রামে।
জানা গেছে, ওই গ্রামেরই একটি স্কুলে শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত ছিলেন বৃন্দাবন মণ্ডল। ২ বোন তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। ১ ভাই ও ২ বোনের সংসার। তবে দাদার সঙ্গে বোনেদের নিত্যদিন খিটিমিটি লেগেই থাকত। কারণ বিয়ে। প্রতিবেশিদের দাবি, ২ বোনের অভিযোগ ছিল দাদা কেন তাঁদের বিয়ে দিচ্ছেন না। ইতিমধ্যেই তাঁদের অনেকটা বয়স হয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও দাদা বিয়ে না দেওয়ায় দাদার ওপর প্রবল ক্ষোভ ছিল ২ বোনের। এ নিয়ে নাকি প্রায়শই ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকত।
গত রবিবার প্রতিবেশিরা ওই বাড়ি থেকে পোড়া গন্ধ পান। ধোঁয়াও দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় বাড়িতে ঢুকে আঁতকে ওঠেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান দাদার সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় ২ বোনই দাদাকে পুড়িয়ে হত্যা করে নিজেদের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ২ বোনকে হাসপাতালে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।