নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে। তবুও হাল ছাড়েননি তাঁরা। তাঁরা পাটচাষ করেন। চাষ থেকে লাভ সেরকম কিছু নেই। তবুও দীর্ঘদিন ধরে এই চাষের জন্যই তাঁরা প্রাণপাত পরিশ্রম করে চলেছেন। কিন্তু কেন এই অবস্থা? কেনই বা পাট শিল্প ক্রমশ নিম্নমুখী? পাটজাত দ্রব্যের জায়গা নিয়েছে বিকল্প নাইলন, প্লাস্টিক থেকে তৈরি ব্যাগ। তবু হাত পেকেছে পাটচাষ করেই। এখন নতুন করে কিছু শুরু করার মত ভরসা নেই। তাই যে বিষয়ে দক্ষতা, সেই পাটচাষকেই আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা, লড়াই চালাচ্ছেন বেশ কিছু মানুষ।
পাট উৎপাদনের আদর্শ জলবায়ু এ রাজ্যে বর্তমান। তবু পাট চাষিরা লাভের মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত। নদিয়া, মুর্শিদাবাদে পাটচাষ হয় যথেষ্ট। পাটের নির্দিষ্ট কোনও দাম নেই। অভিযোগ, দালালদের হাতে প্রতারিতও হতে হয় চাষিদের। পাটের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ হোক, এমনই দাবি পাট চাষিদের। প্রতি বছর কয়েক হাজার টাকা লোকসানের মুখ দেখতে হয়। চাষিদের আক্ষেপ, পরবর্তী প্রজন্ম আর এই পাটচাষে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে এর ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত তাঁরা।