ভালবেসেছিলেন ভিনধর্মের প্রেমিকাকে। সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে ভদ্রেশ্বরের গোয়ালাপাড়ায় নিজের বাড়িতে প্রেমিকাকে নিয়েও আসেন প্রেমিক মহম্মদ জাহিদ। কিন্তু প্রেমে বাদ সাধল মেয়ের পরিবার। মেয়ে অর্থাৎ ভর্তিকা কুমারের বাবা সুনীল কুমার উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে তাঁর মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন মহম্মদ জাহিদের বিরুদ্ধে। সেই সূত্রে তদন্তে নামে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তারা পৌঁছয় ভদ্রেশ্বরে। এরপর জাহিদ ও ভর্তিকা, ২ জনকেই আটক করে চন্দননগর মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত যুবকের ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে জাহিদের দাদা তাহিরের দাবি, ভর্তিকা ও জাহিদ প্রাপ্তবয়স্ক। ভদ্রেশ্বরে আসার পর তাঁদের ২ জনের মুসলিম মতে বিয়ে হয়েছে বলেও দাবি করেন তাহির। তাঁর আরও দাবি, ভর্তিকা ও জাহিদ নিজেদের ইচ্ছাতেই বিয়ে করেছেন। ভর্তিকা চুঁচুড়ায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফিডেভিট করে লিখিত বিবৃতিও দিয়েছেন যে তাঁর নতুন নাম রুকসানা খাতুন। তাঁর জন্ম হিন্দু পরিবারে। তবে এখন তিনি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।