কংগ্রেস ও বামেদের জোড়া বন্ধে শহর কলকাতা স্বাভাবিক থাকলেও জেলায় কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ে। দুর্গাপুর, আসানসোলের মত শহরগুলোতে বন্ধের প্রভাব পড়েছে সড়ক যোগাযোগে। রাস্তায় বাস কমই ছিল। গাড়িও কম। তবে ট্রেন চলাচলে সমস্যা হয়নি। জেলার কিছু কিছু জায়গায় দোকানপাট কম খুলেছে। বাস কম চলেছে।
মুর্শিদাবাদের বেসরকারি বাস সংগঠন বন্ধকে সমর্থন করায় বাস প্রায় ছিলই না। ফলে মুর্শিদাবাদে বেসরকারি পরিবহণে যাতায়াত করতে পারেননি যাত্রীরা। যার জেরে কিছুটা হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের। এছাড়া দক্ষিণের অন্যান্য জেলায় বন্ধের তেমন একটা প্রভাব দেখা যায়নি। তবে বাস ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা হলেও কম। এদিন দুর্গাপুর বা আসানসোলে ট্রেন অবরোধের চেষ্টা হয়। আসানসোল স্টেশনে অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বন্ধ সমর্থকেরা। একইভাবে শিয়ালদহ লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় এদিন রেল অবরোধের চেষ্টা হয়। কোন্নগর ও শ্রীরামপুরে রেল অবরোধ হয়। দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে অবরোধ হয়। অন্যান্য লাইনেও ট্রেন চলাচলে বন্ধের কারণে প্রভাব পড়ে। অনেক স্টেশনেই বন্ধ সমর্থকেরা ট্রেন অবরোধের চেষ্টা করেন। হাওড়ার দাশনগরে বন্ধ সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করেন।
উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে বন্ধে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বাস কম। দোকানপাটও বেশ কিছু এলাকায় কম খুলেছে। রাস্তা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় ফাঁকা। অন্যান্য জেলায় বন্ধের তেমন একটা প্রভাব চোখে পড়েনি। সব মিলিয়ে শহর সচল থাকলেও ট্রেন লাইনে যাতায়াত অনেকের জন্যই সুখের হয়নি।