বিষয়টা যে বিশাল কিছু তা হয়তো নয়। কিন্তু তার জেরে যা ঘটল তা শেষ হল এক তরতাজা যুবকের মৃত্যু দিয়ে। ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছিল ৩ উর্দু শিক্ষককে। সে খবর পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছতেই তাদের একটা অংশ বেঁকে বসে। তাদের দাবি ছিল অন্য বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ অনেক বেশি জরুরি। তাই এই ৩ উর্দু শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। পড়ুয়াদের সঙ্গে এই একই দাবিতে সোচ্চার হন স্কুলের প্রাক্তনীদের একাংশ সহ গ্রামবাসীরা।
বৃহস্পতিবার পুলিশি ঘেরাটোপে নবনিযুক্ত ৩ উর্দু শিক্ষককে স্কুলে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এসেই ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। স্কুলের সামনে গ্রামবাসী ও প্রাক্তনীরাও ভিড় জমিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন। পুলিশ অবস্থা সামলাতে লাঠি উঁচিয়ে এগিয়ে আসে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট বৃষ্টি। ইটের ঘায়ে মহিলা পুলিশ সহ কয়েকজন পুলিশ রক্তাক্ত হন। এরপর অবস্থা সামাল দিতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ছোঁড়া হয় রবার বুলেটও।
এতে কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয় বিক্ষোভকারীরা। এরমধ্যেই আহত হন কয়েকজন গ্রামবাসী সহ রাজেশ সরকার নামে ওই স্কুলেরই এক প্রাক্তনী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি রাজেশকে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এক তরতাজা যুবকের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে গোটা এলাকা জুড়ে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে অবস্থা আয়ত্তে এলেও মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে।