
ভারত জাকাত মৌজহি পারগানা মহলের রেল ও রাস্তা রোকো কর্মসূচি চলেছে ২২ ঘণ্টা। তারপর অবরোধ উঠলেও তার জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে রেল পরিষেবা। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে একের পর এক ট্রেন বাতিল হয়েছে। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হওয়ায় এখন আতান্তরে পরে অন্য ট্রেনের জন্য স্টেশনেই অনেকে অপেক্ষা করছেন। পরিবার নিয়ে সকলেই যে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তা নয়। অনেকেই অনেক কাজে অন্যত্র পাড়ি দিচ্ছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের যাওয়া আবশ্যিক। কিন্তু আদিবাসীদের রেল অবরোধের জেরে ট্রেন নেই। বোর্ডে একের পর এক ফুটে উঠছে ট্রেন বাতিলের ছবি।
গত সোমবার গোটা রাজ্যের সাথে সাথে বীরভূম জেলাতেও ভারত জাকাত মৌজহি পারগানা মহলের পক্ষ থেকে জায়গায় জায়গায় পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। মূলত আদিবাসীদের ভাষা অলচিকিকে স্বীকৃতি দানের সাথে সাথে ৯ দফা দাবি নিয়ে রাজ্য জুড়ে এ কর্মসূচি পালন করেন আদিবাসী সমাজের মানুষ। রেল ও রাস্তা রোকো পালিত হয় ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশাতেও। সেখানেও বহু দূরপাল্লার ও লোকাল ট্রেন বাতিল হয়। সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। গত সোমবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গা সহ বীরভূমের মহম্মদবাজারের জয়পুর ও মল্লারপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আদিবাসীরা। সাঁইথিয়াতেও রেল অবরোধ করেন তাঁরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রায় সাড়ে ১২টা অবধি জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকে। টানা ৩ ঘণ্টার অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে সাঁইথিয়ায় প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে রেল অবরোধ হয়। রেল অবরোধের ফলে হাওড়া আজিমগঞ্জ কবিগুরু এক্সপ্রেস প্রায় ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। আদিবাসী মানুষজন একাধারে ধামসা, মাদল, তির-ধনুক সহ ধারাল অস্ত্র নিয়ে পথ ও রেল অবরোধ করেন।