State

হাসপাতালের রান্নাঘরে মজুত মাছে ছত্রাক, ক্ষুব্ধ সুপার

রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রান্নার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে নিজেই রান্নাঘরে হাজির হন হাসপাতালের সুপার। নিম্নমানের খাবারের প্রমাণও পান। এরপরেই ওই ঠিকাদারকে শোকজ করেন হাসপাতাল সুপার। ৩ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না দিলে বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে জানানোর কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রামপুরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মৌলিক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি রোগীর জন্য দুপুরে ৪৫০ গ্রাম ভাত, ৮০ গ্রাম জলে ২০ গ্রাম ডাল, সবজি ২২৫ গ্রাম ও ৭৫ গ্রাম মাছ দেওয়ার কথা। ডিম দিলে তার সঙ্গে ১০০ গ্রাম কারি দেওয়ার কথা। রাত্রে ৩০০ গ্রাম ভাত অথবা ৪টে রুটি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ব্রেকফাস্টে ২৫০ গ্রাম দুধ দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর করা হচ্ছে না বলে ভূরিভূরি অভিযোগ রয়েছে।


গত রবিবার এক রোগী সুপারের কাছে অভিযোগ করেন যে খোসাসুদ্ধ ডিম দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। এরপরেই সোমবার রান্নাঘরে যান রামপুরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মৌলিক। তিনি রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজ খুলে দেখেন বেশ কিছু মাছ রয়েছে। সেই মাছে ছত্রাক বাসা বেঁধেছে। এরপরেই তিনি ঠিকাদারকে শোকজ করেন। ঠিকাদার রামকৃষ্ণ সাহা সাফাইয়ের সুরে জানিয়েছেন, ২০১১ সালে কিচেনের দায়িত্ব পান তিনি। প্রতিবছর টেন্ডার ডাকার কথা। কিন্তু তা করা হয় না। ২০১১ সাল থেকেই মাথাপিছু ৩ বেলা ৪৪ টাকা বরাদ্দ। এই টাকায় কি হবে, প্রশ্ন রামকৃষ্ণবাবুর। আর রোগী ভর্তি এবং ছুটির সামঞ্জস্য না থাকায় কিছু মাছ এনে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। যদিও তার পাল্টা হিসাবে সুপার শর্মিলা মৌলিক জানান, চালাতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। যদি বিষক্রিয়া ঘটে তার দায় কে নেবে, প্রশ্ন সুপারের। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পরমার্থ চক্রবর্তী জানান, ২০১১ সাল থেকে একটি মামলা চলছিল। এখন সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এবার টেন্ডার করা হবে। আর যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button