১ মাস ধরে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার বন্ধ। বহু আবেদন নিবেদন করেও কাজ হয়নি। তাই গত মঙ্গলবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের দাসপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটতুড়ি গ্রামের উত্তরপাড়ার ১৭৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা ও কর্মীর বদলির নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
অভিযোগ, ময়ূরেশ্বরে ২ নম্বর ব্লকের ছোটতুড়ি গ্রামের ১৭৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গত ১ মাস ধরে শিশুদের পুষ্টিকর খাবার বন্ধ। ওই কেন্দ্রে ১২৮ জন শিশু ও গর্ভবতী মা রয়েছেন। খাবার চালু করার দাবিতে গ্রামবাসীরা কেন্দ্রের সহায়িকা থেকে ব্লক প্রশাসন সর্বত্র জানিয়েছেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ১ মাস ধরে শিশু, গর্ভবতী মায়েরা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না। সহায়ক ও কর্মীদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, শিশুরা নিয়মিত খাবার পাচ্ছে না। রান্না ঠিকমতো হয় না। নষ্ট হওয়া চাল, ডাল, সবজি দিয়ে রান্না হয়। বিষয়টি তাঁরা লিখিতভাবে বিডিওকে জানিয়েছেন। রান্নার জন্য একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। সমস্যা থাকলেও সহায়িকা তা কমিটিকে জানাচ্ছেন না। তিনি নিজের হেফাজতে চাল, ডাল রাখছেন। অথচ সমস্ত জিনিসপত্র অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রাখার কথা। কমিটিকে অন্ধকারে রেখে কর্মী এবং সহায়িকা নিজের মত করে চলছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দাবি, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে চাল নেই। অফিসে তা জানানোও হয়েছে। তারা জানিয়েছে চাল নামতে দেরি হবে। এইভাবে প্রায় ১ মাস হয়ে গেল। তবে গত সোমবার খাবার এলেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্রামবাসীরা তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় রান্না করা যাচ্ছে না বলে পাল্টা ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। এসডিপিও শিবপ্রসাদ দত্ত বলেন, এখন এফসিআই থেকে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। তাদের জেলায় একটি মাত্র গোডাউন রয়েছে। ফলে চাল সরবরাহে দেরি হচ্ছে। গত সোমবার চাল পৌঁছে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের বাকি অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।