সকালে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি থানায় ঢুকে দাবি করে যে সে তার স্ত্রীকে খুন করে একটা কুয়োয় ফেলে কুয়োর ওপর মাটি, বালি চাপা দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে। এমন অবাক দাবিতে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়েই যান পুলিশ আধিকারিক থেকে কর্মীরা। ওই ব্যক্তি বেশ সুস্থিরভাবেই জানায়, তার সঙ্গে তার স্ত্রী কাজল মাঝির প্রায়শই সাংসারিক বিবাদ লেগে থাকত। ঝগড়ার পাশাপাশি মারামারিও হত। পড়শিরা সেকথা জানেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্ত্রী কাজলের সঙ্গে ফের তার ঝগড়া শুরু হয়। তখনই রাগের মাথায় স্ত্রীয়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মারে সে। স্ত্রী লুটিয়ে পড়ে নিথর হয়ে গেলে তাকে তুলে বাড়ির পাশেই একটি কুয়োয় নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে কুয়োর মুখ রীতিমত ইট, বালি দিয়ে বুজিয়ে দেয় সে।
পেশায় রিকশাচালক শ্যামল মাঝির মুখে এত কথা শোনার পর পুলিশ আধিকারিকরা তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। সেখান শ্যামলের দেখানো জায়গায় শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি। দীর্ঘক্ষণের খোঁড়াখুঁড়ির পর অবশেষে পচা দুর্গন্ধ বার হতে শুরু করে। উদ্ধার হয় কাজল মাঝির দেহ। পুলিশ এরপর শ্যামল মাঝিকে গ্রেফতার করে।
কিন্তু কেন সে আচমকা পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করে নিজেই সব কথা খুলে বলল তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে কী অনুশোচনায় ভুগতে শুরু করেছিল শ্যামল? নাকি অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান রাগের বশে করলেও এখন নিজের কাজের জন্য হয়তো অনুশোচনা হচ্ছে শ্যামল মাঝির। তদন্ত চলছে।