ছেলের অভাবের কথা জানা ছিল বাবার। তাই মাঝেমধ্যেই ছেলের হাতে দৈনন্দিন খরচের জন্য সাধ্যমত টাকা দিয়ে আসতেন বাবা। এদিনও তিনি কিছু টাকা দেওয়ার জন্য ছেলের বাড়িতে হাজির হন। কাছেই থাকেন ছেলে, বৌমা ও এক নাতনি। ওটুকু রাস্তা পেরিয়ে ছেলের হাতে টাকা দিতে গিয়ে বাবা দেখেন ছেলের ঘরের দরজা বন্ধ। তবে ভেজানো অবস্থায় বন্ধ। ঠেলা দিতেই তা খুলে যায়। ঘরে ঢুকে দেখেন নাতনি শুয়ে আছে বিছানায়। সে তো হল! কিন্তু ছেলে-বৌমা গেল কোথায়? ডাকতে ডাকতে রান্নাঘরে ঢুকে আঁতকে ওঠেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা অসীম পালের বাবা। দেখেন রান্নাঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ছেলে অসীম ও বৌমা সুপ্রভার দেহ।
পুলিশ দেহ ২টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অসীম পালের বাবার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, অসীমবাবুর আর্থিক অবস্থা ভাল ছিলনা। বাজারে বেশ বড় অঙ্কের ধার রয়েছে। সেই টাকা শোধ করতে না পেরেই অবসাদে এই দম্পতি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। তবে সেটা প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।