প্রথমে ছেলের গলা কেটে তাকে হত্যা করে তারপর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। মৃতের নাম সুব্রত দাস। গড়িয়ার বাসিন্দা সুব্রতবাবুর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। দাম্পত্য অশান্তির জেরে তিনি বছর চারেক আগেই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ছেলে গোপাল থাকত সুব্রতবাবুর কাছে। গ্যাস বিক্রির কাজ করে অতি কষ্টে সংসার চালানো সুব্রতবাবুর বাজারে অনেক দেনা হয়ে গিয়েছিল বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। আর্থিক অনটনে প্রবল অশান্তিতে দিন কাটছিল তাঁর। ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
শনিবার সকালে তাঁর বাড়ির দরজা না খোলায় প্রতিবেশিদের সন্দেহ হয়। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে ভিতরে ঢুকে দেখে গলার নলি কাটা অবস্থায় পড়ে আছে সুব্রতবাবুর ছেলে গোপাল দাসের নিথর দেহ। চারদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুব্রত দাসের ঝুলন্ত দেহ। দেহ ২টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশিরাও জানান, সুব্রতবাবু আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির সেটাই অন্যতম কারণ। এদিনের ঘটনায় গোটা পাড়া হতবাক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।