সবে কলেজের গণ্ডি পার করেছেন তাঁরা। একজন প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। অন্যজনকে বেকার বলা যেতে পারে। এই ২ যুবকের জন্মদিন ছিল সম্প্রতি। প্রতি বছর তাঁরা বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়স্বজন নিয়ে ধুমধাম করে নিজেদের জন্মদিন পালন করতেন। এবছর তা না করে সেই টাকা বাঁচিয়ে ২ বন্ধু মিলে খুদে পড়ুয়াদের হাতে পড়াশোনা ও খেলাধুলোর সামগ্রি তুলে দিলেন। ২ যুবকের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। দাদাদের দেওয়া উপহার সামগ্রি হাতে পেয়ে বেজায় খুশি খুদে পড়ুয়ারাও।
সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ ও ২৬ তারিখ অর্কপ্রভ দাস ও গোবিন্দ সাহার জন্মদিন ছিল। অর্কপ্রভ প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। গোবিন্দ সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে সবে পড়াশোনা শেষ করেছেন। এবছর তাঁরা তাঁদের জন্মদিন বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে টাকা পয়সা খরচ করে পালন করেননি। নিজেদের জন্মদিনের টাকা ও হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে সেই টাকা দিয়ে আমোদপুর কুসুমডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে খাতা, পেনসিল, রবার, শার্পনার, ক্লিপবোর্ডের মত প্রয়োজনীয় পড়াশোনার সামগ্রি তুলে দেন ২ বন্ধু। এছাড়াও ছাত্রদের জন্য ফুটবল এবং ছাত্রীদের জন্য স্কিপিং কিনে দিয়েছেন তাঁরা। অর্কপ্রভ ও গোবিন্দ ‘প্রচেষ্টা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সেই সংগঠনের সদস্যরাও গত বৃহস্পতিবার ২ বন্ধুর সঙ্গে যান।
গোবিন্দ জানান যে তাঁরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন জন্মদিনের অনুষ্ঠানের খরচ বাঁচিয়ে খুদে পড়ুয়াদের হাতে কিছু তুলে দেবেন। সেইমত তাঁরা ওই প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পড়াশোনা ও খেলাধুলোর সামগ্রি দিয়ে এসেছেন। তবে শুধুমাত্র এবছরই নয়, আগামী বছরগুলোতেও এভাবেই তাঁরা নিজেদের জন্মদিনের খরচ বাঁচিয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন এই ২ তরুণ।